Thursday, November 21, 2024
HomeOnline EarningsSenior Citizen Savings Scheme: প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকার বেশি আয় করার সুযোগ!

Senior Citizen Savings Scheme: প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকার বেশি আয় করার সুযোগ!

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা অন্যতম সঞ্চয়ের স্কিম হল সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম। আসলে এই স্কিমটির মাধ্যমে অবসরকালীন বৃদ্ধ মানুষেরা যাতে নিজেদের খরচ চালানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণে সক্ষম হয়ে ওঠেন, তারই ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।

Senior Citizen Savings Scheme: আমরা সারা জীবন ধরে কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর পরিমাণে টাকা রোজগার করার চেষ্টা করি। সেই প্রচুর টাকা রোজগার করে সমস্তটাই কিন্তু খরচা করে ফেলি না। তার কারণ রোজগার করার সাথে সাথেই যে বিষয়টি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে তা হলো সঞ্চয় করা বা এক কথায় বলতে ভবিষ্যতের জন্য অর্থ মজুদ রাখা।

এই সঞ্চয়ের পরিকল্পনায় আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের স্কিমের মাধ্যমে নিজেদের কষ্টার্জিত টাকা বিনিয়োগ করে থাকি। আজকের প্রতিবেদনে এমনই এক দুর্দান্ত স্কিমের খবর আমরা দিতে চলেছি আপনাদেরকে।

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা অন্যতম সঞ্চয়ের স্কিম হল সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম। আসলে এই স্কিমটির মাধ্যমে অবসরকালীন বৃদ্ধ মানুষেরা যাতে নিজেদের খরচ চালানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণে সক্ষম হয়ে ওঠেন, তারই ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। বৃদ্ধাবস্থায় নিজেদের প্রতি মাসে যাতে কিছু পরিমাণ রোজগার আসতে থাকে সেই কথা মাথায় রেখেই এই প্রকল্প শুরু করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে।

Eligibility Criteria of Senior Citizen Savings Scheme

এবার আসুন, এই স্কিমে আবেদন করার জন্য যে সমস্ত যোগ্যতার প্রয়োজন হবে তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করে নেওয়া যাক –

১) ৬০ বছরের উর্ধ্বে বয়সী যে কোন মানুষ এই প্রকল্পের জন্য সরাসরি আবেদন করতে পারবেন।

২) যেহেতু এই প্রকল্প অবসরকালীন অবস্থায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য শুরু করা হয়েছে সেই কারণে যে সমস্ত ব্যক্তিরা ইচ্ছুক ভাবে ৫৫ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করে নেন তাদের ক্ষেত্রে ৫৫ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে যেকোনো সময়ে এই প্রকল্পে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আবেদনকারী প্রার্থীর অবসর গ্রহণ বাঞ্ছনীয়।

৩) এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিজেদের অ্যাকাউন্ট একক বা যৌথ উভয়ভাবেই খোলা সম্ভব।

৪) সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এই প্রকল্পে আবেদনের বয়সসীমা ৫৫ বছর থেকে ৬০ বা তার ঊর্ধ্বে হলেও যে সমস্ত ব্যক্তিরা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ছিলেন এবং পরবর্তীকালে অবসর গ্রহণ করেছেন তাদের ক্ষেত্রে ৫০ বছর বয়স থেকেই এই প্রকল্পের আবেদন স্বীকৃত হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে অবসর গ্রহণ করার এক মাসের ব্যবধানে এই অ্যাকাউন্ট খুলতে সক্ষম হবেন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করা প্রার্থীরা।

Benifites Of Senior Citizen Savings Scheme

১) প্রকল্পের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা করে বিনিয়োগ করতে পারবেন অবসরপ্রাপ্ত মানুষ।

২) এইভাবে ১০০০ এর গুণিতক যেকোনো সংখ্যার টাকা বিনিয়োগ করা যেতে পারে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। তবে সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা করা যাবে।

৩) কোন ব্যক্তি যদি ৩০ লক্ষ টাকার উর্ধ্বে টাকা জমা করে ফেলেন তাহলে বাড়তি টাকা অবিলম্বে ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।

৪) তবে এক্ষেত্রে কোনরকম আয়কর ছাড়ের বিধান দেয় নি সরকার।

৫) আবেদনকারী ব্যক্তির জমা করা টাকার উপর প্রত্যেক মাসে মিলবে সুদের পরিমাণ। তবে এক্ষেত্রে চক্রবৃদ্ধি হারে কোনরকম সুদ পাওয়া যাবে না।

৬) আবেদনকারী কোয়াটারলি অর্থাৎ বছরে মোট চার বার সুদ পেতে পারবেন।

৭) তবে এক্ষেত্রে সবথেকে আকর্ষণীয় বিষয় হল এই প্রকল্পের সুদের পরিমাণ। মোট ৮.২% হারে এই প্রকল্পের আওতায় সুদ পাওয়া যায়। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি ৩০ লক্ষ টাকা ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করেন তাহলে ম্যাচিউরিটির পর তিনি সুদ সহ ৪২,৩০,০০০ টাকা পেয়ে যাবেন। এইভাবেই এই প্রকল্পের আওতায় মাসিক ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব।

৮) মোট পাঁচ বছরের ম্যাচিউরিটি পিরিয়ডে নিজেদের সঞ্চিত অর্থ সম্পূর্ণভাবে পেয়ে যেতে সক্ষম হবেন আবেদনকারী।

How To Apply For Senior Citizen Savings Scheme?

সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে আবেদন করার জন্য ইচ্ছুক প্রার্থীদের নিজেদের নিকটবর্তী পোস্ট অফিস অথবা ব্যাংকে চলে যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে এই প্রকল্পের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করে নির্ভুলভাবে পূরণ করে সম্পূর্ণ নথিপত্রের সঙ্গে জমা করে দিতে হবে।

Documents

  • আধার কার্ড,
  • ভোটার কার্ড,
  • প্যান কার্ড,
  • পাসপোর্ট সাইজ ছবি,
  • জন্মের প্রমাণপত্র,
  • সরকারি আইডেন্টিটি প্রুফ,
  • বাসস্থানের প্রমাণপত্র,
  • KYC সার্টিফিকেট ইত্যাদি ।

Follow Us

Site Navigation

Most Popular