Mamata New Scheme: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের দ্বারা চালু করা কালজয়ী প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলারা প্রতিমাসের নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকেন সরকারের পক্ষ থেকে।
তবে এইবারে শুধুমাত্র লক্ষ্মীর ভান্ডারের মাধ্যমে মহিলারাই নয়, নতুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের পুরুষরাও পাবেন প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে। এই প্রকল্পের সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে নিচে আলোচনা করা হলো।
ভারত কৃষিভিত্তিক দেশ। এর মধ্যেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কৃষি কাজের জন্য যথেষ্ট উর্বর। সেই কারণে এই রাজ্যে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষ প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। আর এই কৃষিকাজের ফলেই দেশের প্রতিটি মানুষের বাড়িতে পৌঁছে যায় খাদ্যদ্রব্য।
অথচ এই অন্ন প্রদানকারী কৃষকেরাই অনেক সময় সঠিক মূল্য পান না। সেই কারণে রাজ্যের কৃষকদের সঠিক জীবন যাপনের দিকে দৃষ্টিপাত করে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছে এই নতুন প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের পুরুষরাও মাসিক ভাতা পেয়ে যাবেন।
প্রকল্পের নাম: কৃষক বন্ধু প্রকল্প (Krishak Bandhu Prakalpo)।
আবেদনের জন্য যোগ্যতা
১) আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের স্থায়ী কৃষক হতে হবে। অথবা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অন্ততপক্ষে ১০ বছর বাস করতে হবে।
২) কৃষকের বয়স ন্যূনতম ৬০ বছর হওয়া বাঞ্ছনীয়। তবে তপশিলি জাতি অথবা উপজাতি সম্প্রদায়ের কৃষক হলে ৫৫ বছর বয়সেও এই প্রকল্পে আবেদন করা যেতে পারে।
৩) কৃষকের নামে এক একর জমি থাকতে হবে।
৪) ভূমিহীন কৃষকেরাও এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।
৫) কেন্দ্রীয় সরকার অথবা রাজ্য সরকারের অন্য কোন প্রকল্পের উপভোক্তা হয়ে থাকলে এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না।
প্রকল্পের সুবিধা
১) রাজ্যের কৃষকদের সঠিক জীবনযাপনের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বছরের ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২) এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথমে ৫০০০ টাকা দেওয়া হবে উপভোক্তাদের। এরপর পরবর্তী সময়ে আবার ৫০০০ টাকা প্রদান করা হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে মোট দুটি কিস্তিতে টাকা পাবেন রাজ্যের কৃষকরা।
৩) এই প্রকল্পের উপভোক্তা কোন কৃষকের মৃত্যু ঘটলে তার পরিবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকার সহায়তা পাবেন।
আবেদন পদ্ধতি
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষক বন্ধু প্রকল্পে সম্পূর্ণ অফলাইন মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। যোগ্য আবেদনকারী কৃষকদের, প্রথমে অনলাইন মাধ্যমে সম্পূর্ণ আবেদন পত্রটি ডাউনলোড করে নিয়ে A4 পাতায় প্রিন্ট করিয়ে নিতে হবে।
এরপর সম্পূর্ণ নিজের দায়িত্বে হাতে-কলমে নির্ভুলভাবে আবেদন পত্রটি পূরণ করে নিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথিপত্র অ্যাটাচ করে একটি মুখবন্ধ খামে করে নিয়ে স্থানীয় ব্লক বা মহাকুমা অফিসে জমা করে দিয়ে আসতে হবে।