আরবিআই এর রয়েছে বিশেষ নিয়ম। রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। বিভিন্ন ব্যাংকের বিভিন্ন নিয়ম কানুন পরিচালনা করা হয়ে থাকে এই ব্যাংকের পক্ষ থেকেই। তবে আপনি কি জানেন একজনের নামে ঠিক কতগুলো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা যায়? যদি এখনো অবধি এই বিষয়ে না জানেন তাহলে বিপদ ঘনিয়ে আসছে আপনার!
এখনকার দিনে প্রত্যেকেই কম বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন নানা রকম কারণে। আজকালকার দিনে এমন একজনকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না যার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রী প্রত্যেকেরই রয়েছে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা কিংবা পড়ুয়াদের বিভিন্ন স্কলারশিপের টাকা জমা হয়ে থাকে এই বিশেষ অ্যাকাউন্ট এর মধ্যেই। এক কথায় বলা যায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়া এখন আর কারোরই চলেনা।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন ব্যক্তি একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার চেষ্টা করেন। এর পিছনে লুকিয়ে থাকে বিভিন্নরকম কারণ। দেখা যায় অনলাইন জালিয়াতির চক্করে নিজেকে বাঁচানোর জন্য একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে অল্প পরিমানে টাকা সঞ্চয় করে রাখার মতো প্রবণতা।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রেও কিন্তু আরবিআই এর নির্দিষ্ট নিয়ম নীতি রয়েছে। ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট মোট কত ধরণের হয়ে থাকে! এই বিষয়ে সবার প্রথম যে কোনপ ব্যক্তির জানা দরকার।
ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট মোট কত রকম ধরণের হয়ে থাকে?
- সেভিংস অ্যাকাউন্ট।
- কারেন্ট অ্যাকাউন্ট।
- স্যালারি অ্যাকাউন্ট।
- জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট।
- জিরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্ট।
- মাইনর অ্যাকাউন্ট।
- স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট।
এর মধ্যে বেশিরভাগ গ্রাহকেরাই সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন। অন্যদিকে বড় বড় ব্যবসায়ীরা খুলে থাকেন কারেন্ট অ্যাকাউন্ট এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে খোলা হয়ে থাকে মাইনর কিংবা স্টুডেন্ট একাউন্ট।
অনেক মানুষ নিজের ব্যক্তিগত কারণে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে রাখেন। কোনও সমস্যা হতে পারে, এর জন্য? রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়েছে এর জন্য কোনও সমস্যা হবে না। ডিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া কোন ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার পিছনে কোন নির্দিষ্ট সীমা বেঁধে দেয়নি।
একজন ব্যক্তি একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন?
নিশ্চয়ই, একজন ব্যক্তি একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখতে হবে। যদি তিনি না রাখেন তাহলে অ্যাকাউন্টটি চালানোর জন্য তাকে দিতে হবে নূন্যতম জরিমানা। এছাড়াও রয়েছে ডেবিট কার্ড এর জন্য প্রত্যেক বছর মেইনটেনেন্স চার্জ।
কোন ব্যক্তির যদি এত সমস্ত কিছুর সামলে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা রাখতে পারেন তাহলে প্রতিবছর মেনটেনেন্স চার্জ দিতে পারেন। তিনি নিশ্চয়ই একের বেশি একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতেই পারেন।