New Business Idea: দেশে দিনে দিনে বাড়ছে বেকারত্বের সমস্যা! চাহিদার তুলনায় সমঞ্জস্য রেখে তৈরি হচ্ছে না চাকরি। এর পাশাপাশি বাড়ছে শিক্ষিত মানুষের সংখ্যাও। তাহলে পরবর্তী সময়ের ছেলেমেয়েরা কোন কাজ করে জীবনে উন্নতি করবেন? কী হবে তাদের ভবিষ্যৎ? তবে এখন আর চিন্তার কোন কারণ নেই। ছোটখাটো ব্যবসা দিয়েই শুরু করতে পারেন আপনার জীবনের যাত্রা। আজকের প্রতিবেদনে এক অন্যতম লাভদায়ক ব্যবসার কথা আমরা তুলে ধরতে চলেছি আপনাদের সামনে।
বর্তমানে এমন বহু ছেলে মেয়ে রয়েছেন যারা সরকারি বা বেসরকারি চাকরির ওপর ভরসা না রেখে সরাসরি নিজেদের ব্যবসা শুরু করার দিকে মনোনিবেশ করছেন। এক্ষেত্রে সবথেকে লভ দায়ক ব্যবসা গুলির মধ্যে অন্যতম হলো মুড়ির ব্যবসা। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ অবস্থায় থাকা মানুষজন সকলেই মুড়ি খেয়ে থাকেন। বাঙ্গালীদের কাছে যেমন ভাত দুপুরের খাদ্য তেমনি সন্ধ্যেবেলায় টুকটাক খাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে মুড়ি।
এই মুড়ির ব্যবসা শুরু করার জন্য অত্যন্ত অল্প কাঁচামাল এবং স্বল্প খরচেই প্রতি মাসে বেশ কিছু টাকা রোজগার করে নেয়া সম্ভব।। এর পাশাপাশি এই ব্যবসা করার জন্য কোন শহরে বা অন্য কোথাও যাওয়ার কোনরকম প্রয়োজন নেই। নিজের বাড়িতে বসেই মহিলা পুরুষ সকলে মিলে একসাথে মুড়ির ব্যবসা শুরু করা যায়।
প্রয়োজনীয় কাঁচামাল
- উত্তর দিনাজপুর জেলার চল্লিশ চোরানব্বই চাল।
- মুড়ি বানানোর মেশিন।
- লবণ।
- মুড়ির প্যাকেট।
- কোম্পানির সিল।
- মুড়ি ভাজার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার ইত্যাদি।
মুড়ির ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন
মুড়ির ব্যবসা শুরু করার জন্য অত্যন্ত স্বল্প মূলধনের প্রয়োজন। মূলত বাড়িতেই এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে তাই এই ব্যবসা শুরু করার জন্য চাল কেনার খরচা এবং তার সাথে গ্যাস, মুড়ির প্যাকেট, কোম্পানির সিল ইত্যাদি কেনার জন্য প্রাথমিকভাবে অর্থ খরচ করতে হবে।
এর জন্য খুবই কম খরচের মধ্যেই এই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। তবে মুড়ির ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় মেশিন এবং বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজন হবে।
মুড়ির ব্যবসা করে লাভ
মুড়ির ব্যবসায় পাইকারি বিক্রিতে প্রতি কেজি ১০ থেকে ১৫ টাকা লাভ করা যায়। ব্যবসা যত বাড়বে তার সাথে সমান গতিতে বৃদ্ধি পাবে লাভের পরিমাণও। এক্ষেত্রে, ৬০০ কেজি মুড়ি বিক্রি করতে পারলে লাভের মূল্য থাকবে ৯ হাজার টাকা। এর থেকে বেশি মুড়ি বিক্রি করে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার করা সম্ভব।