লোকসভা ভোটের আগেই রাজ্য বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছিল এপ্রিলের শুরু থেকেই লক্ষী ভান্ডারের বর্ধিত টাকা পাবেন মহিলারা। আর এর ফল ভালোভাবেই দেখা গেছে নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন। এক কথায় এবারের তৃণমূলের তাস হয়ে উঠেছিল লক্ষ্মীর ভান্ডার। সম্প্রতি ফের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ নিয়ে আশার খবর শোনালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত এপ্রিল মাস থেকে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের আওতায় থাকা মহিলারা বর্ধিত হারে টাকা পাচ্ছেন। এই প্রকল্পের আওতায় বাংলার মা-বোনেরা ১০০০ টাকা করে পাচ্ছেন প্রতি মাসে। অপরদিকে সংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলারা পাচ্ছেন ১২০০ টাকা করে। সম্প্রতি এই প্রকল্প নিয়ে আরো এক ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বড়ো আপডেট
রবিবার ২১ জুলাই শহীদ দিবসের সমাবেশ ছিল ধর্মতলায়। আর এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সমাবেশ থেকেই বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন বার্তা দিলেন তিনি। তিনি জানান ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার যেমন চলছে তেমনি চলবে।’ এর পাশাপাশি যারা এখনো পর্যন্ত এই প্রকল্পের সুবিধা পাননি তাদেরও আশ্বাসের কথা শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঢুকবে পুজোর আগেই
এখনো পর্যন্ত এরকম অনেক মহিলা রয়েছে যারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন জমা করার পরেও টাকা পাননি। বিডিও অফিস পঞ্চায়েত বা দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে আবেদন জমা করেও তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি।
এই আবেদনকারীদের চিন্তার দিন কিন্তু শেষ। কারণ মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন ডিসেম্বর থেকে সরকার লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য আবেদন নিয়ে কাজ করবে। সমাবেশ থেকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান “লক্ষীর ভান্ডার কন্যাশ্রী ও রুপশ্রী প্রকল্পের জন্য আমরা ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি। পাশাপাশি কিছু বিধবা ভাতা পরে আছে। পুজোর আগেই সেগুলি রিভিউ করে নেওয়া হবে।”
এর পাশাপাশি বাড়ির যে লিস্ট তৈরি হয়েছে সেই সংক্রান্ত কাজ শুরু হতে চলেছে শীঘ্রই। মুখ্যমন্ত্রী জানান ১২ বছরে এখনো পর্যন্ত সরকারের তরফে 23 লক্ষ বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে। এখনো ১১ লক্ষ মানুষের বাড়ি বাকি রয়েছে।
এই টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে না দেওয়া হলেও মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাড়ি তৈরির টাকা ডিসেম্বর মাসে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সাহায্য না পেলেও নিজস্ব কোষাকার থেকেই বাংলার মানুষকে সাহায্য করবেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।