বর্তমানে যত সময় এগোচ্ছে ততই মানুষ ঝুঁকছেন সমাজমাধ্যমের দিকে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি মানুষ দেখছেন নিজেদের ব্যবসা। নিজেদের ব্যবসা গোছাতে বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আসা হচ্ছে ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম ইউটিউব সমস্ত অ্যাপের মাধ্যমে।
সামনাসামনি খোঁজখবর এখন প্রায় কেউ নেয় না বললেই চলে। তার বদলে মেসেজের খোঁজ খবর রাখার যুগ উঠেছে। Facebook, youtube, instagram এর বিভিন্ন কনটেন্ট ক্রিয়েশনের সঙ্গে রমরমিয়ে বাড়ছে উপার্জনের রাস্তা। এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকবে না বলেই ঠিক করল টেলিগ্রামের সংস্থা।
টেলিগ্রাম অনেকেই ব্যবহার করেন। কিন্তু সেখান থেকেও যে উপার্জন করা সম্ভব তা অনেকেই জানতেন না। তবে রাতারাতি এই ছবিটা পাল্টাতে চলেছেন টেলিগ্রামের সিইও পাবেল দুরবে। শুধুমাত্র কনটেন্ট ক্রিয়েটারদের জন্য নয়, সাধারণ ইউজারদের জন্যও তিনি নিয়ে আসেন বেশ কিছু ফিচারস।
এমন কিছু ফিচারসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীদের যা তারা ব্যবহার করে রীতিমতো আয় করতে পারবেন। গ্রুপ চ্যাট, পার্সোনাল চ্যাট এর পাশাপাশি চ্যানেলগুলিতেও বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা।
এই প্রসঙ্গে টেলিগ্রামের সিইও জানিয়েছেন ফাইনান্সিয়াল রিওয়ার্ড পাবেন প্রত্যেক ব্যবহারকারী। টোন ব্লক চেনের মাধ্যমে টেলিগ্রামের তৈরি হবে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে এই রিওয়ার্ড পাবেন টেলিগ্রাম চ্যানেলের মালিকরা। ইতিমধ্যেই মোট ১০০টি দেশে চালু হয়েছে টেলিগ্রামের মনিটাইজেশন ব্যবস্থা। এর ফলে উপকৃত হচ্ছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটাররা।
টেলিগ্রামের সিইও জানিয়েছেন এমন বেশ কিছু চ্যানেল রয়েছে যাদের সাবস্ক্রাইবার ছাড়িয়ে গিয়েছে কয়েক লাখ। তাই কোম্পানির কাছে খুলে গিয়েছে একটি নতুন উপার্জনের পন্থা। এই ব্যবস্থাপনা চালু করার জন্য তৈরি হচ্ছে আলাদা ইকো সিস্টেম। শুরু থেকেই বরাবর হোয়াটসঅ্যাপকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে চলেছে টেলিগ্রাম।
হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজের মতো এখানেও বেশ অডিও এবং ভিডিও কলের সুবিধা রয়েছে। বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপে যে চ্যানেলের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে এই সুবিধাটি টেলিগ্রামে ছিল বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই। টেলিগ্রামে ফিচারস হোয়াটস্যাপ থেকে এগিয়ে থাকলেও সাধারণ মানুষের কাছে এখনও পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প কিছুই নেই।
টেলিগ্রামের বিভিন্ন ডাটা থেকে জানা যাচ্ছে বর্তমানে টেলিগ্রামের অ্যাকটিভ ইউজারদের সংখ্যা তাই ৮০ কোটি। এখানে বলা যায় অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির মতোই টেলিগ্রাম ও সাধারণ মানুষের কাছে দিনের পর দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যাকে কাজে লাগিয়ে উপার্জন করার নতুন পথ বার হচ্ছে। টেলিগ্রামের প্রতি সাধারণ মানুষের ভালোবাসা বাড়ছে দিনের পর দিন।