Lokkhir Vandar: কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, স্বাস্থসাথীর মতো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সরকারি প্রকল্পগুলির মধ্যে বোধয় সবচেয়ে জনপ্রিয় লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প। ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্পের পরিচয় বাংলার প্রতিটা ঘরের মহিলার কাছে যেন অজানা নয়।
২০২১ সালে রাজ্যে চালু করা হয়েছিল রাজ্য সরকার কর্তৃক লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প। ভোটের আগে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন এই কথা। সেই কথা মতো চালু করা হয় এই প্রকল্প। যেখানে বাংলার প্রত্যেক ২৫ বছরের উর্ধ মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন। প্রত্যেক মাসে ব্যাঙ্ক একাউন্টে ঢোকে টাকা।
তবে সম্প্রতি ঘটে গেছে আরজি করের ঘটনা। যেই ঘটনা আমাদের কাছে যেন অজানা নয়। গত একমাস ধরে চলছে মিছিল, মিটিং, রাত জাগা আরো কত কি। আর এই আরজি কর কাণ্ডে মহিলাদের প্রতিবাদকে ঘিরে তৈরী হয়েছিল নানান জল্পনা।
যে এবার বোধয় বন্ধ হবে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প। সাধারণত মাসের শুরুতে অর্থাৎ ৪-৬ তারিখের মধ্যে ঢোকে টাকা। তবে এই জল্পনা তুঙ্গে হওয়ার কারণ হল এ মাসে টাকা ঢুকতে দেরি হওয়া।
তবে সূত্রের খবর, চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকে ছাড়া হয়েছে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা। তবে যাদের এখনো সেই টাকা ঢোকেনি তারা খুব শীগ্রই পাবেন এই টাকা। চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।
এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের জবাব, ” একাউন্ট নম্বরের গোলমাল থেকে নানা কারণে কিছুজনের টাকা পেতে সমস্যা হয়। তখন ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ করা হয়।”
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের অনেক জেলায় টাকা ঢোকা শুরু হয়ে গেছে। তবে বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই প্রকল্পের উপভোক্তা সংখ্যা প্রায় ১২ লক্ষ ৬০০ জন আবার বিভিন্ন জেলায় এই সংখ্যা বিভিন্ন।
তবে পুরো পশ্চিমবঙ্গে সব মিলিয়ে প্রায় ২.৫ কোটি মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পান। বেশিরভাগ মহিলা মনে করেন লক্ষীর ভান্ডার পরিবারে তাদের অবস্থান উন্নত করেছে, মাসিক বেতন তাদের আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করে।