শুধুমাত্র টাকা দিয়েই থামছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! এবার নাকি ভোটে জিতে ফ্রিতে ল্যাপটপ এবং স্কুটিরও দেওয়ার সিদ্ধান্ত! নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন! ভাবছেন একি, এটাও সম্ভব! কীভাবেই বা মিলবে! সবটাই দেখুন আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে।
একের পর এক নতুন স্কিম। কখনো বাড়ানো হচ্ছে চলতি স্কিমে টাকার অংক আবার কখনো সামনে আনা হচ্ছে একেবারে নতুন স্কিম। সম্প্রতি দেশের পড়ুয়াদের কথা চিন্তা করে ফ্রিতে ল্যাপটপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। এমনকি স্কুলের যারা শীর্ষস্থানে রয়েছেন তাদের নাকি দেওয়া হবে স্কুটারও। তবে হঠাৎ এমন কেন স্কিমের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো?
জানা যাচ্ছে করোনা মহামারীর পর অনেকেই স্কুল মুখে হতে চাইছেন না। বেড়েছে ফোনের ঝোঁক। গেম খেলায় ব্যস্ত পড়াশোনার ছেড়ে সকলে। তাই প্রত্যেকে যাতে স্কুলমুখী হন এবং পড়াশোনায় উৎসাহ পান সেই জন্যেই আগামী প্রজন্মকে ল্যাপটপ এবং স্কুটার দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে এখানেও অনেকের প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে এই সরঞ্জাম গুলো কি আদৌ অনুপ্রেরণা জোগাতে পারবে পড়াশোনায়! যদিও এটি বহু বিতর্কের ব্যাপার।
বিনামূল্যের ল্যাপটপ এবং স্কুটি দেওয়ার মাধ্যমে সরকার বিভিন্ন দিকে শেখার সুযোগ বাড়ানোর আশা রাখছে। তবে এক্ষেত্রে কি সবাই পাবেন স্কুটার নাকি বিশেষ কাউকে দেওয়া হবে? জানিয়ে রাখা ভালো, পড়াশোনার দিক থেকে যারা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করবেন তাদেরই এই বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হবে। ঘোষণা করা হয়েছে আগামী জুলাই মাসের মধ্যে মোট ৭০০০ জন শিক্ষার্থী একটি ল্যাপটপের জন্য মোট ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পাবেন।
মধ্যপ্রদেশ বোর্ডের ১২ তম পরীক্ষায় ৭৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মান জানানোর জন্যই স্কুল শিক্ষা বিভাগ থেকে এই প্রস্তুতি শুরু করা হবে। এখনো পর্যন্ত এই সব বিষয়ে শিক্ষার্থীদের তথ্য যাওয়া হয়েছে বিভাগের তরফ থেকে। বোর্ড পরীক্ষায় ৭৫ শতাংশর ওপরে স্কোর করলেই ছাত্ররা ল্যাপটপের জন্য পেয়ে যাবেন কড়কড়ে ২৫ হাজার টাকা।
এছাড়াও জানা যাচ্ছে সমস্ত স্কুলের সেরা পারফরমেন্স যার থাকবে তাদের একটি স্কুটারও দেওয়া হবে। আশা করা হচ্ছে বিনামূল্যে ল্যাপটপ এবং স্কুটি যোজনার মাধ্যমে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ আরো উজ্জ্বল হবে এবং একাডেমিক কৃতিত্বগুলিকে যথাযথ স্বীকৃত দেওয়া হবে। এই দুই প্রকল্পের জন্য এখনো পর্যন্ত ২২৫ কোটির বেশি টাকা খরচ হবে বলেই জানা যাচ্ছে।
যে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি লাগবে- আধার কার্ড, ঠিকানার প্রমাণপত্র, কাস্ট সার্টিফিকেট, দ্বাদশ শ্রেণীর মার্কশিট, ইনকাম সার্টিফিকেট, ব্যাংক একাউন্টের পাসবুক, পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
এই স্কিমের জন্য আবেদন করতে হলে অবশ্যই মধ্যপ্রদেশের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। স্কুলে পড়াশোনা করতে হবে। আবেদন করার জন্য সবার প্রথমে চলে যেতে হবে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে। সেখানেই প্রয়োজনীয় নথি একের পর এক জমা দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।