এবারে বিনামূল্যে বাড়িতে বসেই পেয়ে যাবেন রেশন সামগ্রী! এমনই এক নতুন স্কিমের সঙ্গে পরিচয় করাচ্ছেন আমাদের রাজ্য সরকার। কি এই স্কিম? কিভাবে আবেদন করবেন এই স্কিম? কারা কারা সুবিধা পাবেন? আসুন আজকে আমাদের এই প্রতিবেদনে জেনে নিই বিস্তারিত।
জানা যাচ্ছিল বহুদিন ধরেই অস্বাস্থ্যকর ঘিঞ্জি পরিবেশে বাস করা চা বাগানের কর্মীদের জন্য বিশেষ স্কিম আনতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই প্রকল্পের নাম কি হবে কিংবা কিভাবে এই স্কিমের আওতায় আসবেন মানুষেরা তা নিয়ে কিছুই পরিষ্কার ছিল না। সম্প্রতি জানা গিয়েছে শুধুমাত্র দার্জিলিং নয় উত্তরবঙ্গের কোচবিহার কালিম্পং আলিপুর দুয়ার জুড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় রয়েছে চা বাগান। এই চা বাগান অর্থনীতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এই চা বাগানের শ্রমিকদেরই করতে হয় নানা রকম সমস্যার মুখে।।
চা বাগানের কর্মীদের কখনো বস্তিতে কিংবা লাইনেও থাকতে হয়। থাকতে হয় অস্বস্তিকর জায়গায়। তারা যাতে ভালোভাবে থাকতে পারেন সেই জন্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে অন্যতম হলো চার সুন্দরী প্রকল্প। এই চা সুন্দরী প্রকল্প অনুযায়ী কি কি সুবিধা পাবেন চা-বাগানের শ্রমিকেরা?
কি এই চা সুন্দরী প্রকল্প?
চা সুন্দরী প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো পশ্চিমবঙ্গের চা শ্রমিকদের নানারকম সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়া। এই প্রকল্পের ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। উত্তরবঙ্গের চা বাগানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন প্রায় তিন লক্ষ আশি হাজার পরিবার। এই পরিবারের উদ্দেশ্যেই দেওয়া হবে পাকা বাড়ি। এই সুবিধা প্রদান করা হবে রাজ্য শ্রম বিভাগের তরফ থেকে।
এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী উত্তরবঙ্গে প্রায় ৩৭০ টি রয়েছে চা বাগান। সমস্ত চা বাগানের শ্রমিকেরাই এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। দেখা গিয়েছে এখানে চা শ্রমিক হিসেবে যারা কাজ করেন তাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং তপশিলি উপজাতির। আগে তারা খুব কম পরিমাণে বেতন পেতেন। ইদানিং তাদের মজুরি কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
কবে এই চা সুন্দরী প্রকল্প শুরু করা হয়েছে?
এই চা সুন্দরী প্রকল্প ২০২০ সালের বাজেটে উল্লেখ করেছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অমিত শাহ। এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৫০০ কোটি টাকা।
কি কি সুবিধা পাবেন চা শ্রমিকেরা?
জানা যাচ্ছে এই প্রকল্পের অধীনে চা শ্রমিকদের জমির অধিকার বিনামূল্যে বাড়ির বন্দোবস্ত করে দেওয়া হবে। এই নিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই করে আসছিলেন। ইতিমধ্যে আলিপুরদুয়ার সহ মুজনাই, লঙ্কাপারা রহিমপুর সহ নানা জায়গায় এই প্রকল্পের বাড়ি তৈরি করা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি বাড়িতেই থাকছে দুটি করে ঘর, একটি রান্নাঘর এবং একটি শৌচালয়। বাগানগুলির কাছেই সরকারি জমির উপর এই বাড়িগুলো তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে।।
কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন?
এই প্রকল্পের সুবিধা কারা পাবেন তার জন্য রাজ্যের শ্রম দপ্তরের তরফ থেকে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। দেখা গিয়েছে যারা চা বাগানের কাজ করেন তারাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। এছাড়াও হতে হবে এই রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা। বাসস্থানের প্রমাণপত্র নিজের পরিচয় পত্র এবং তারা যে চা বাগানের শ্রমিক সেই পরিচয়পত্র জমা করতে হবে।।
আরো কি কি সুবিধা থাকছে এর অন্তর্গত?
চা বাগানের শ্রমিকেরা যাতে বিনামূল্যের চাল গম এবং রেশন সামগ্রী পেতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এই প্রকল্পের আওতাতেই।