Pradhanmantri Sauchalay Yojana: যেকোনো মানুষের সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য আলাদা শৌচালয়ের প্রয়োজন হয়। অথচ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরিবারের সঠিক শৌচালয় নেই। সেই কারণে বিভিন্ন রকমের রোগ ব্যাধি এবং পরিবেশ দূষণ ঘটে থাকে।
এই সমস্ত বিষয়ের ওপর দৃষ্টিপাত করে কেন্দ্রীয় সরকার শুরু করেছিলেন তাদের শৌচালয় যোজনা। এই যোজনার মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারকে তাদের ব্যক্তিগতভাবে শৌচালয় নির্মাণের জন্য নূন্যতম অর্ধ প্রদান করা হয়ে থাকে।
কেন্দ্রীয় সরকারের জনক হিতকর প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হলো শৌচালয় প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের যে সমস্ত পরিবার গুলিতে নিজস্ব শৌচালয় ব্যবস্থা নেই তাদের বাড়িতে শৌচালয় তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার। লোকসভা নির্বাচনে BJP দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরে আবারো এই শৌচালয় বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় টাকা উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে পাঠানো শুরু হল।
Pradhanmantri Sauchalay Yojana
এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবার পিছু শৌচালয় বানানোর জন্য বারো হাজার টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে।
এই প্রকল্পে আবেদনের যোগ্যতা
১) আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা ব্যক্তিরা এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ সুবিধা পেয়ে যাবেন।
২) এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য নিজেদের বসত বাড়িতে কোনো রকম শৌচালয় আগে থেকে থাকা চলবে না।
Read More: রাজ্যে হিসাবরক্ষক পদে কর্মী নিয়োগ! বয়স ১৮ হলেই আবেদন।
৩) দারিদ্র সীমার নিচে অবস্থিত পরিবার গুলি এই প্রকল্পের অগ্রাধিকার পেয়ে যাবেন।
৪) এছাড়াও তপশিলি জাতি, উপজাতি, আদিবাসী এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা এই প্রকল্পের জন্য অগ্রাধিকার পাবেন।
৫) সরকারের কাছে কর দেন এমন কোন ব্যক্তি এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না।
আবেদন পদ্ধতি
১) প্রতিটি প্রার্থীকে এই প্রকল্পের জন্য অনলাইন মাধ্যমে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে।
২) ইচ্ছুক আবেদনকারী ব্যক্তিরা সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ফর আইএইচএইচএল অপশনটি বেছে নিন।
৩) এরপর আপনার সামনে স্ক্রিনে যে আবেদন পত্রটি আসবে সেটি সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে নিজের সমস্ত তথ্য দিয়ে পূরণ করুন।
৪) নিজেদের সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র ভালো করে মোবাইলের ক্যামেরায় স্ক্যান করে আপলোড করে দিন।
৫) এরপর নিজের আবেদন পত্রটি সাবমিট করে দিন।
আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র
১) নিজের পরিচয় পত্র হিসাবে ভোটার কার্ড
২) আবেদনকারী আধার কার্ড
৩) ব্যাংকের পাস বই
৪) কাস্ট সার্টিফিকেট
৫) BPL বা APL সার্টিফিকেট
সম্পূর্ণ আবেদন সঠিকভাবে শেষ করা হলে কিছুদিনের মধ্যেই ব্লক বা ডিস্ট্রিক্ট অথরিটির আধিকারিক আবেদনকারীর বাড়ি দেখার জন্য আসবেন। এবং তিনি সম্পূর্ণ আবেদনের সত্যতা যাচাই করবেন। সব ধরনের তথ্যের সঙ্গে আবেদনকারীর অবস্থা মিলে গেলে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় টাকা চলে আসবে উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে।