প্রচুর মানুষ তাদের জীবন পথে চাকরির বদলে বেছে নেন ব্যবসাকে। তবে ব্যবসা করা মানেই সেখানে আর্থিক ঝুঁকি থাকে। যেকোনো ব্যবসার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে লাভ লোকসানের হার। এর পাশাপাশি প্রয়োজন হয় ব্যবসায়িক বুদ্ধির।
তবে ব্যবসা শুরু করার জন্য গৃহপালিত যে কোন পশুর ব্যবসার মাধ্যমে অনেকেই লাখ লাখ টাকা রোজগার করে থাকেন। আজকের প্রতিবেদনে এই গৃহপালিত পশু ছাগলের ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
গৃহপালিত ছাগলের ব্যবসা
ছাগল অতি জনপ্রিয় গৃহপালিত পশু। বঙ্গবাসী ছাগলের দুধ থেকে শুরু করে মাংস সবই খেয়ে থাকেন। সেই কারণে বিপুল পরিমাণ ছাগল বিক্রি হয়ে থাকে পশ্চিমবাংলা সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। প্রচুর ব্যবসায়ী এই পশুর ব্যবসা করে থাকেন এবং রোজগার করেন প্রচুর টাকা।
তবে এমন ব্যবসা শুরু করার জন্য বেশ কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। তাই ছাগল বিক্রির অথবা প্রতিপালনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। না হলে একশো ছাগলের সংখ্যা কখন যে একে এসে দাঁড়াবে তা আপনি বুঝতেও পারবেন না!
ছাগলের ব্যবসায় ঝুঁকি
যেকোনো জীবন্ত পশুর দেখভালের জন্য সবার আগে তাদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে হয়। কোনরকম ভাইরাল অসুখ অথবা ফ্লু এর মুখে পড়লে গৃহপালিত পশুর সংখ্যা প্রতিদিন কমতে থাকে এবং এই রোগের চিকিৎসা সঠিকভাবে জানা না থাকলে দিনে দিনে এই রোগের কবলে পড়ে এক থেকে হাজার ছাগলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এই অসুখগুলি।
ছাগলের ক্ষেত্রে এমনই একটি সংক্রামক অসুখ হল পিপিআর। এই রোগ স্থানান্তরিত হয় এক ছাগলের শরীর থেকে আর এক ছাগলের শরীরে। এই রোগ সঠিক সময়ে নিবারণ না করলে একসাথে বহু ছাগলের মৃত্যু ঘটে। তাই আসুন আজকের প্রতিবেদনে পিপিআর রোগের লক্ষণ এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।
পিপিআর রোগের লক্ষণ
১) এই রোগটি স্পর্শের মাধ্যমে একজনের থেকে অপরজনের শরীরে স্থানান্তরিত হয়ে থাকে।
২) রোগের লক্ষণ হিসাবে পালিত ছাগলটির মুখে ঘা এর সৃষ্টি হয়।
৩) ছাগলের নাক মুখ থেকে ক্রমাগত তরল নিঃসৃত হতে থাকে।
পিপিআর রোগের প্রতিকার
নিয়মিত ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমে এই রোগের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব। বিভিন্ন ক্যাম্পে পিপিআর রোগের ভ্যাকসিনেশন হয়ে থাকে সেখান থেকে নিয়মিতভাবে ভ্যাকসিনেশন করাতে হবে আক্রান্ত ছাগলটির এবং তাকে যথেষ্ট পরিমাণে দেখাশোনা করতে হবে।