তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছেন নরেন্দ্র মোদি। আর মোদির তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর এটাই ছিল তার সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। মঙ্গলবার ২৩ জুলাই সংসদের বাজেট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।২০২৪-২৫ এর অর্থনৈতিক রূপরেখা ঠিক কেমন হবে তা ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়ে গেছে বাজেটে। সেই সাথে সাধারণ মানুষের আশা ছিল তার হাত ধরে ভারতে অর্থনীতি নতুন দিশা দেখাবে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও এবার বাজেট পেশ করার সময় দারুণ চমক দিয়েছেন সাধারণ মানুষকে। কিছু ক্ষেত্রে যেমন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তেমন কিছু ক্ষেত্রে পণ্যের দাম কমেছে। এ বছরের বাজেটে সবথেকে বড় চমক ছিল ‘শিক্ষা ঋণ’। শিক্ষা ঋণ নিয়ে সম্প্রতি সামনে এসেছেন বড়ো আপডেট। জানেন কি সেই আপডেট!
কেন্দ্রীয় বাজেটে শিক্ষা ঋণ সম্পর্কে ঘোষণা:
একটা সময় ছিল যখন চাকরি প্রত্যাশীদের মত ছিল সরকারি চাকরির মত পেশাগত নিরাপত্তার কোথাও নেই। কিন্তু বর্তমানে সরকারি চাকরির যে প্রতিযোগিতা বাড়ছে তাতে নিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন পেশাগত কোর্সের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। অর্থাৎ বিভিন্ন রকম ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রযুক্তিগত শিক্ষার জন্য কলেজে ভর্তি হচ্ছেন। তবে বেসরকারি কলেজে ভর্তি হতে গেলে অনেক পরিবারকে অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের ও পরিবারের মাথার বোঝা হয়ে থাকে ঋণ। তাই এবার বাজেটে শিক্ষা ঋণের বিষয়ে বিশেষ ছাড় দিলেন কেন্দ্রীয় সরকার।
শিক্ষাঋণে বিশেষ ছাড়:
উচ্চশিক্ষার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার কথা বাজেট এবার ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিবছর এক লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী এই শিক্ষা ঋণের আওতায় লোন নিয়ে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করতে পারবেন। আর শিক্ষাঋণের সুদের ক্ষেত্রে তিন শতাংশ ছাড় দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তাই নয় আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি যুবককে প্রশিক্ষণের পর internship এর ও সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানান নির্মলা সীতারামন।
সুদের ওপর ছাড়:
উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার মাঝে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় খরচ। সেই বিপুল খরচ মেটাতে শিক্ষার্থীর পরিবারকে এডুকেশন লোন নিতে হয়। কিন্তু বর্তমান দেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে এডুকেশন লোন চাইলে তার সুদের হার পরে প্রায় 6.85 থেকে 9.35 শতাংশ।
শিক্ষার্থীর পরিবারের এই কষ্ট কিছুটা লাঘব করতেই সচেষ্ট হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বেসরকারি ক্ষেত্রেও যাতে শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সেই লক্ষ্যেই একদিকে যেমন শিক্ষা ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে তেমন শিক্ষা ঋণের সুদে তিন শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এর ফলে শিক্ষার্থীরা ঋণ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীরা আগের থেকে অনেক বেশি উপকৃত হবে।